রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫

হ্যাঙিং লেগ রেইজ ব্যায়াম

দেখতে দেখতে পৌঁছে গেলাম ৬৮ তে। এই সেদিন যেন ছিল ছেলেবেলা। সে বয়সে দৌড় ঝাঁপ এক সাধরন ব্যাপার । সেই সঙ্গে আমাকে পেয়ে বসেছিল যোগব্যায়ামে। যেটা বন্ধুদের মধ্যে প্রচলন ছিল না। আসলে একটা বই পেয়েছিলাম -স্বামী শিবানন্দ সরস্বতীর " যোগ বলে রোগ আরোগ্য "। সেটা ও অনুশীলন করে বন্ধুদের মধ্যে অনন্য হয়ে উঠেছিলাম। সেই বয়সে ব্যায়ামগুলি কত সহজ ছিল, সবই করতাম অবলীলায়। কিন্তু এখন ? এই আটষট্টিতে সব ব্যায়ামই বেশ কঠিন। শিরদাঁড়া তার নমনীয়তা হারিয়েছে। তবু চেস্টা করতে হয়। এই যেমন কোমরের পেশীর ব্যায়াম। যদি সিক্স প্যাক তৈরি করতে চাই যেতে হবে জিমে। ঝুলে পা তুলে ব্যায়াম ( Hanging leg raise exercise) করতে হলে বার লাগবে। সেই বয়সে সে সব লাগতো না। গাছের ডালে বা ঘরের আড়ায় ঝুলেই করা যেত। দুই হাতে মাথায় উপরে শক্ত করে ধরে দুই পা মাটি থেকে শূন্যে তুলে বুকের কাছে টেনে আনতে হবে। তারপর নিঃশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে দুই পা ধীরে ধীরে নামাতে হবে। এতে কোমর, পেট, তলপেট ও নিতম্বের পেশী সবল হবে। আমাদের চলাফেরা সহজ হবে। কোমর হচ্ছে চলন শক্তির অন্যতম ধারক বাহক। কোমর ভাঙলে সব চলন থেমে যায়।কোমর ভাঙা - এক প্রবাদের জন্ম দিয়েছে। আর জি কর হাসপাতালে ডাক্তার মেয়েটা ধর্ষিত হয়ে খুন হলো, শাসক সব প্রমাণ লোপাট করে বিচারের কোমর ভেঙে দিয়েছে। ভিয়েতনাম পঁচিশ বছর ধরে গেরিলা যুদ্ধ করে আগ্রাসী আমেরিকার কোমর ভেঙে দিয়েছিল। আম্বেদকরের মৃত্যু দলিত মানুষের লড়াইয়ের কোমর ভেঙে দেয়। গর্বাচেভ গ্লাসনসত বা গনতন্ত্রের নামে রাশিয়ার সমাজতন্ত্রের কোমর ভেঙে দিয়েছিল। চারু মজুমদারের মৃত্যু কোমর ভেঙে দেয় নকশাল আন্দোলনের। সেই কোমর মজবুত রাখতে Hanging leg raise exercise অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পঞ্চাশের পরে দেহ যায় ভারি হয়ে। দুই হাতে ভর দিয়ে হাঁটু বুকের কাছে নিয়ে আসা কষ্টকর বা অসম্ভব। তাই বিকল্প খুঁজতে হবে। শুয়ে, বসে বা দাঁড়িয়ে কিভাবে এর সম পর্যায়ের ব্যায়াম করা যায় সেটা দেখতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

হে মহাজীবন

মাঝরাতে হৃদয় খুব উথাল পাথাল করছিল। সত্তরের কাছাকাছি পৌঁছে হৃদয় বসন্তের ডাক শুনতে পায়না, পরপারের ডাক শোনে। আর সে ডাক শুনতে ভয় করে, এই সু...