বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

১২১ তম বর্ষে উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস

আজ বড়দিন। এই বড়দিনে অজ বাংলার এক অখ্যাত গ্রামে ছোট আকারের একজন মানুষ জন্মেছিলেন। কাজটা ছোট ছিলনা, গোবরে পদ্মফুল উপমা সত্যি করে অশিক্ষার অন্ধকার সরিয়ে পৌঁছে গেছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোরগোড়ায়। তারপর অধ্যাপনা, একাধিক নামি স্কুলে প্রধানশিক্ষকতা, কলেজে অধ্যক্ষ হওয়া। এখনকার মত প্রধানশিক্ষক - অধ্যক্ষ - উপাচার্য হওয়া সেই সময়ে জলভাত ছিল না। এই পদগুলো ছিল দুষ্প্রাপ্য ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, শ্রদ্ধার। দেশভাগ, দেশত্যাগ, স্বজনহারা বিদেশ বিভূঁইয়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু। মাত্র ৪৮ বৎসর বয়সে।এরই মধ্যে বাংলা সাহিত্যে তাঁর সংযোজন কবি, গীতিকার, নাট্যকার ও পুনরাবৃত্তবিদ হিসেবে। তাঁর অনন্য কীর্তি বাংলা ভাষার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ রচনা। আজ তাঁর ১২১তম জন্মদিন। বাঙালি ভুলে গেছে তাঁকে। বৌদ্ধিক সমাজ মনে রাখেনি, মনে রাখেনি তাঁর সমাজের মানুষ, প্রিয়জনেরা। নব্বই পেরিয়ে কেবলই দীর্ঘশ্বাস ফেলে তাঁর কন্যা। তাঁর একমাত্র ছেলে অকালে ক্যান্সারে চলে গেছে। যাওয়ার আগে পলতা একটা ক্লাবকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে তাঁর বইগুলো সংরক্ষণ করার, দূর্গানগরে আম্বেদকর মিশনে একটা কক্ষ তৈরি করেছেন তাঁর নামে। কিন্তু কোথাও এদিন পালন করার কথা শোনা যায় না।
তাঁর কোন ছবি নেই। এ আক্ষেপ কিছু মেটানো যায় তাঁর মেয়ের থেকে শুনে শুনে কোন শিল্পীকে দিয়ে প্রতিকৃতি আঁকিয়ে নিয়ে। মেয়ে মরে গেলে সে সুযোগ হাতছাড়া হবে। তৈরি করা দরকার একটা স্মৃতি রক্ষা কমিটি, তাঁকে নিয়ে গবেষণা হতে পারে। কিন্তু কে বা কারা এগিয়ে আসবে ? আচার্য উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস এর জন্মদিনে আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম।

২টি মন্তব্য:

  1. এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।

    উত্তরমুছুন
  2. ছবির বইটা পাবো কিভাবে? বইটার খোঁজ হুমায়ুন আজাদের "বাক্যতত্ত্ব" বইয়ে প্রথম জানতে পারি।

    উত্তরমুছুন

হে মহাজীবন

মাঝরাতে হৃদয় খুব উথাল পাথাল করছিল। সত্তরের কাছাকাছি পৌঁছে হৃদয় বসন্তের ডাক শুনতে পায়না, পরপারের ডাক শোনে। আর সে ডাক শুনতে ভয় করে, এই সু...