রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

অদ্ভুত আঁধার

অদ্ভুত আঁধার এক । জীবনানন্দ দাশ । জীবনানন্দের কবিতা মানেই দুর্বোধ্য কবিতা। যেমন বিষ্ণু দে। আগে এই দুইজনকে এড়িয়ে চলতাম। মাঝে মাঝে পড়তে পড়তে মনে হলো - জীবনানন্দকে একটু একটু বুঝি। ইদানিংকালে খুব বেশি প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে কবিকে। এখনকার ভারতবর্ষে অনিয়ম যেন নিয়ম। মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী পূজা পাচ্ছে, খুনি -ধর্ষকরা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় সাজা থেকে মুক্তি পেয়ে সম্বর্ধিত হচ্ছে, সরকার অপরাধীদের ধরার জন্য চেষ্টা করছে না বরং অপরাধীদের বাঁচাবার জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বিচারালয়ে লড়ছে। এমন আবহে আবার পড়লাম জীবানানন্দের "অদ্ভুত আঁধার এক"। এবার আর একদম কঠিন মনে হলো না। কবি যেন এই সময়ের ঘটনা দেখেই লিখেছিলেন - অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ-পৃথিবীতে আজ, যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা; যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই- প্রীতি নেই- করুণার আলোড়ন নেই পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া। যাদের গভীর আস্থা আছে আজো মানুষের প্রতি এখনো যাদের কাছে স্বাভাবিক ব’লে মনে হয় মহৎ সত্য বা রীতি, কিংবা শিল্প অথবা সাধনা শকুন ও শেয়ালের খাদ্য আজ তাদের হৃদয়। (অদ্ভুত আঁধার এক কবিতাটি মনবিহঙ্গম কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। এই কাব্যগ্রন্থ টি কবি জীবনানন্দ দাশের রচিত কাব্যগ্রন্থ । যা কবির মৃত্যুর অনেক বছর পর ১৯৭৯ সালে প্রকাশিত হয়। এ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশের বহু আগে ১৯৫৪-এর ২২ অক্টোবর এক ট্র্যাম দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জীবনানন্দ লোকান্তরিত হয়েছিলেন। এই কাব্যগ্রন্থটিতে মোট ৩৮ টি কবিতা স্থান পেয়েছে।)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

হে মহাজীবন

মাঝরাতে হৃদয় খুব উথাল পাথাল করছিল। সত্তরের কাছাকাছি পৌঁছে হৃদয় বসন্তের ডাক শুনতে পায়না, পরপারের ডাক শোনে। আর সে ডাক শুনতে ভয় করে, এই সু...