বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

অমলিন

অমলিন অমল : আরেকটা ছোট্ট গল্প অমল - পরশ জীয়নকাঠি হয়ে উঠলো দশ ডি-তে। অমল সন্ধ্যায় আলো ঝলমলে হলে স্মিত হাসিতে হাজির হলো মিতা। একটু পরেই বাঞ্ছারবাগানের হৈ হৈ পিসি থুড়ি তপতী হাজির। ওরা এলো একাকী- বেজোড় । আমরা জোড়ে যখন ইতিউতি করছি - আমাদের মাভৈ জানাতে জোড়ে এলো মানস। আর তাতেই হলের গমগমে বেড়ে গেল। গৃহকর্তা এতো ব্যস্ত যে এতক্ষণ অদৃশ্য হয়ে ছিলেন। গমগম থামাতে হাজির হলেন তিনি। সব সামলে তিনি আবার অদৃশ্য! টেবিলহীন গোল বৈঠকে সময় দ্রুত সরে যাচ্ছিল। কে যে মধ্যমণি বুঝে উঠতে পারছিলাম না। তবে মানস - জায়া ছিল অনন্যা। জানালার দিকে তাকাচ্ছিলাম যদি বাঞ্ছনীয় বাঞ্ছারবাগানের দু একটা প্রজাপতি উড়তে উড়তে ঢুকে পড়ে! হতাশ মনের ধাক্কা এলো মানসের ঠেলায়। বলল - চল চল মেয়ের কাছে। সবাই মিলে ছবি তুলতে পোজ দিলাম। ক্যামেরা ক্লিক করার আগেই এসে গেল আমাদের শুক্লা রানী। বৃত্ত আজকের মত সম্পুর্ণ হলো। তারপর তো কলকাকলি। সেই কাকলিতে থেকে ও ছিল না দুই জন - অমল ও তার গিন্নি। পৃথিবীর সব চিন্তা তাদের মগজে। এই আসরে সবার কাছে নতুন ছিল আমার ঝগড়ার সাথী। কিন্তু সবার চেনা হলেও আমার কাছে নতুন ছিল সম্পূর্ণা। তার কথা একটু না বললে মন হজম হবে না। হয়তো তোরা জানিস কিন্তু আমি জানায় নতুন।(গিন্নি বলে - টিউবলাইট, একটু পরেই জ্বলে) ১৯৭৬ সাল। আমি বঙ্গবাসী কলেজে প্রি-ইউ পড়ছি। বাঙলা সঙ্গীত জগতের এক নক্ষত্রপতন হলো। অকালে চলে গেলেন এক গানের কারিগর। সেদিন সংবাদ শিরোনাম দেখে অনেকের মত দুঃখ পেয়েছিলাম। সেই নক্ষত্র আজকে আলাপ হওয়া সম্পূর্ণার বাবা নচিকেতা ঘোষ। আমরা হারিয়েছিলাম একজন শিল্পীকে, আর স্কুল বয়সে সে হারিয়েছে তার অবলম্বন বাবাকে। আমার গ্রাম্য মানসিকতায় এটা এক বড় প্রাপ্তি। প্রথম যৌবনের এক মহান মানুষের ছোঁয়া পেলাম প্রান্তে এসে। এমনই এক অনুভূতি আছে Smita কে নিয়ে। যখন জেনেছিলাম সে রাষ্ট্রপতি ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ এর সন্তানের সন্তান! ধান ভাঙতে শিবের গীত। এদিন মানস চুপচাপ ছিল না যেমন অন্যদিন থাকে। সে জীবনসাথীর প্রতি খুব যত্নশীল ছিল। ভাবছিলাম - সে কি আমাদের মত ঝগড়াশীল কখনো হয়!!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

হে মহাজীবন

মাঝরাতে হৃদয় খুব উথাল পাথাল করছিল। সত্তরের কাছাকাছি পৌঁছে হৃদয় বসন্তের ডাক শুনতে পায়না, পরপারের ডাক শোনে। আর সে ডাক শুনতে ভয় করে, এই সু...