একটি কবিতার জন্ম। #poem
আজ একটা কবিতা লিখবো। মানে কবিতার মতো কিছু। বৈশাখ মাস। বাংলা বছরের প্রথম মাস। কথায় আছে- সকাল দেখলে দিনের আভাস পাওয়া যায়। তাই সকালের হাতে খড়ি সেরে ফেলবো আজ। তাতে সারাবছর যদি লিখতে পারি।
কিন্ত কি লিখি, কিছুই বুঝতে পারছি না। সেই ছোট্টবেলার মত। অভ্যাস নেই অনেকদিন। আবার বানিয়ে মানে কল্পনা করেও লিখতে পারিনা। একটা চিত্রভাস দরকার। #writings
ঐতো দূরে কোকিল ডাকছে।.....তাহলে কোকিলই হোক কবিতার বিষয়।
"কোকিল ডাকে কুহু... কুহু..."
নাহ্...হবেনা।
কী গরম রে বাবা ! চেয়ার টেবিল সব যেন আগুন হয়ে আছে ! তাহলে....
" বাইরে গরম , কাকেরা খুঁজছে আরাম
গাছের পাতায়
আমি জ্বলন্ত উনুনে বসে আছি..."
আর এগোতে পারছি না। এখন গরম। বরং উল্টো দিকে চলে যাই।
শীতের সকাল। একদিন ভোরের ট্রেনে গ্রামের দিকে যাচ্ছিলাম। যাত্রী কম। প্রায় সবাই বসে। দু চার জন দরজার কাছে। একটা বড় ঝুড়িতে একটা লোক ও এক মহিলা কুন্ডলী পাকিয়ে শুয়ে আছে। এরা রাতজাগা মানুষ। কোন গ্রাম থেকে সবজি নিয়ে শহরে বেচে হয়তো ফিরছে।
চাদরে মুড়ে এক ভবঘুরে পা তুলে সীটের উপর বসে। জানালার কাছে দুটো বাচ্চাসহ দুই ভদ্রজন। হয়তো প্রবাস থেকে বাড়ি ফিরছে। আরেক জানালায় একটা মেয়ে বা বউ, হাতে ছোট্ট মানিব্যাগ, আধঘুমে।পাশে আরেকজন, বারবার মেয়ে বা বউটার গায়ে ঢুলে পড়ছে। অন্য সীটে দুটো লোক পাশাপাশি, চোখ বোজা।
এমনি খন্ডচিত্র।
এবার আমি এদের মধ্যে ডুব দেবো, দেখি কিছু খুঁজে পাই কিনা। কয়েকটা মিনিট সময় দেবেন ?
-------------------------------
একটা কিছু খাড়া করেছি। একটু পড়ি....
ট্রেনে যাচ্ছি।
দুইজন মানুষ পাশাপাশি বসে,
দুইজনের বাদর টুপি,
দুইজনের গলায় মাফলার।
এটা শীতকাল।
দুইজনের গায়ে সোয়েটার,
দুইজনের মুখে দাড়ি, কাচা পাকা
ব্যতিক্রম দাড়ির গঠন।
দাড়ি বলে দেয় ওদের ধর্ম আলাদা।
দুইজনের ভাবলেশহীন মুখ, নিষ্পাপ
পাশাপাশি বসে আছে।
আজ ওরা পাশাপাশি বসে আছে
কোন কোন গতকাল ওরা এমন ছিলনা
কোন কোন আগামীকাল ওরা এমন থাকবেনা
দুইজনের মাঝে কাটাতার দেবার জন্যে
কিছু মানুষ আছে,
ধর্মান্ধ মানুষ।
তারা শান দেয় বিভেদের ছুরিতে
শান দেয় অতলান্ত সময়,
সুযোগ খোঁজে অহরহ।
দুইজন মানুষ নিরীহ এখন, পাশাপাশি।।
** এটাকে কি কবিতা বলা যায় ? আপনার কী মনেহয় ? কী নাম দেয়া যায় ? মন্তব্য করলে ভাল লাগবে। #goutamaalee
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন