বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫

হে সিঁধুসারস : এক কাব্যিক নাটক

রবিবার , ০৯.১১.২০২৫, একাডেমিতে থিয়েটার দেখলাম। ইচ্ছে থাকলেও সচরাচর থিয়েটার দেখা হয় না, বেছে নিতে হয়। এদিনের নাটক দেখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় মূলত নাম দেখে। হে সিন্ধুসারস। কাব্যিক উচ্চারণ, কবি জীবনানন্দ থেকে। নামেই মনে হয়েছে উপত্থনাও হবে কাব্যিক। দ্বিতীয় কারণ, সেঁজুতি মুখোপাধ্যায়ের অভিনয় আমি ইতিপূর্বে দেখিনি। সেঁজুতিরা বালিগঞ্জ বিজ্ঞান কলেজে প্রাণী বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আমাদের বিদায় জানিয়েছিল। তখনই অভিনেত্রী হিসেবে ওর নাম জেনেছিলাম। এই দুই আগ্রহ নিয়ে যাই একাডেমিতে। এক ভাললাগা নিয়ে হল থেকে বেরিয়েছি। প্রথম অর্ধেকে উসখুস দেখেছি আশেপাশের দর্শকদের মধ্যে। নাটকের নেপথ্য কাহিনী। ভাবনা চিন্তা। শিক্ষণীয়। শুধু নাট্যারসিকদের জন্যে নয়, সৃষ্টিশীল কাজে যাঁরা থাকে তাঁদের জন্যেও। আমি বুঝতে চেষ্টা করছিলাম। বিদেশী নামে তালগোল পাকাচ্ছিল। আমার ব্রেখটের কথা মনে আসছিল। মনে হচ্ছিলো তাঁর ভাবনার প্রয়োগ। যদিও আমি ব্রেখটের কোন নাটক দেখিনি, পড়েছি মাত্র। বিরতির পর আমাদের সারিতে পাঁচ আসন ফাঁকা হয়ে গেল। বুঝলাম তাঁদের উসখুস ভাল না লাগার ছিল। দ্বিতীয় বা শেষ অংশ নাট্য ভাবনার পূর্ণরূপ। মঞ্চ পরিকল্পনা, আলো, আবহ সঙ্গীত, অভিনয় - সবই অসাধারণ ! কাব্যিক ! হল থেকে বেড়িয়ে হাঁটছি - একজন বয়স্ক মহিলা তাঁর সঙ্গীকে বললেন - ক্লাসিক থিয়েটার। আমি বিশারদ নই, অনুভূতি বলতে চেষ্টা করলাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

হে মহাজীবন

মাঝরাতে হৃদয় খুব উথাল পাথাল করছিল। সত্তরের কাছাকাছি পৌঁছে হৃদয় বসন্তের ডাক শুনতে পায়না, পরপারের ডাক শোনে। আর সে ডাক শুনতে ভয় করে, এই সু...