ঘরে আছি
ভয়ে কাঁপছি
সারা শরীর জুড়ে শিরশিরানি
অকাল শীত ধেয়ে আসছে চারিদিক হতে।
কিছু বছর ধরে কিছু শব্দ বাসা বেঁধে আছে
অন্তরে অন্তরে কোলাহল একাকী
নির্জন বাস
আসাম ত্রাস।
এন আর সি, সি এ এ শব্দেরা মালা তৈরি করে
সে মালার ছবি ভাসে শ্মশান খাটে
নিচ্ছিদ্র জানালার পাশে বসে থাকি
তবু তারা ঢোকে।
জন্মেছি বঙ্গে, বাঙলা ভাষার অমৃত স্বাদ
মায়ের মুখ হয়ে চুঁইয়ে চুঁইয়ে জমেছে হৃদয়ে
সে আমার ভাষা,
সে আমার দেশ।
বল্লাল সেনেরা আজ হাতে নিয়েছে রামের ধনুক
নির্বংশ করতে শম্বুক - একলব্যের রক্তবীজ
শর্তহীন মুখোশহীন দাম্ভিক প্রকাশ
বাঙালির পিঠ দেয়ালে এখন।
উনিশশো আটচল্লিশ, একাত্তর, দুহাজার চৌদ্দ
সালেরা বাহানা এখন বুঝে গেছে আর্যাবর্ত
বিভেদের চৌহদ্দি গড়ে
পুতুল নাচের সুতো তাদের হাতে।
বাঙালি বাঙাল, হিন্দু মুসলমান,জাতের উচুঁ নিচু
রাজনীতির অসংখ্য বেদীতে পূজায় সশস্ত্র
বাঙ্গালী অন্তঃসার শুন্য
প্রানসত্বা হাওয়ায় বিলীন।
ঘরের কোণে বসে থাকি দুরু দুরু বুকে
টিভি খুলতে ভয় পাই, সংবাদ শিরোনাম
যদি দেখি আমার ছবি
বেনাগরিকের ফরমান হাতে!
বাঙলা আমার ভাষা, বঙ্গ আমার প্রাণ
পুব পশ্চিম উত্তর দক্ষিণ রাজনীতির ঘুটি
মানিনা মানবনা ফরমান রশি
হাত পেতে আছি হাতের শৃঙ্খল করতে তৈরি।
২০/২/২৪ সকাল।